
ঢাকা ওয়াসায় তেত্রিশশো কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে। হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে, পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তার অবৈধ নিয়োগ ও প্রধান প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তার নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতির তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের অবৈধ নিয়োগের তথ্য দুদকে দিতে রিটকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসায় অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সে মামলার শুনানিতে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প এবং কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে দুদক।
এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার উন্নয়ন পরিচালক আবুল কাশেম, কারিগরী পরিচালক কে এম সহিদ উদ্দিন, কো-অর্ডিনেশন অফিসার শেখ এনায়েত আবদুল্লাহ, সহকারী সচিব মৌসুমী খানম এবং ডেপুটি চীফ ফাইন্যান্স অফিসার রত্নদীপ বর্মন অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান এবং কো-অর্ডিনেশন অফিসার শেখ এনায়েত আবদুল্লাহ নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
রিপোর্টে উঠে এসেছে, ওয়াসার কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা তসরুপের তথ্য। এছাড়াও পদ্মা জশলদিয়াতে ১১০০ কোটি, গন্ধবপুর পানি শোধনাগারে ১০০০, দাশেরকান্দিতে ১০০০, গুলশানের বারিধারা লেক দূষণ এবং সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের মাধ্যমে আরো প্রায় ৬৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
এছাড়া ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের অবৈধ নিয়োগের তথ্য দুদকে দেয়ার জন্য রিটকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে তাকসিম এ খানের আইনজীবীর দাবি, ওয়াসার কোনো দুর্নীতির সাথে এমডি জড়িত নন। তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আরো একটি রিট মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ফারাহ্ হোসাইন/ফই
