
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের অবসরের আগে পাঁচমাসে দায়ের ও নিষ্পত্তি করা মামলার প্রায় পৌনে ছয়শ নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদন আকারে পুরো নথি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০২১ সালের ১৪ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুদকে অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব-বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আসার পর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন তার তালিকা চেয়েছিলেন।
এবার এ সংক্রান্ত মোট ৪০৮টি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পুরো নথি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের ১০ মার্চ তিনি অবসরে যান।
আনোয়ার হোসেন/ফই
