
নিদারুণ কষ্ট নিয়ে মধ্যবিত্তরা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার লাইনে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ- কিছুতেই হাত দেয়ার জো নেই। বাজারে হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। তাই লোকলজ্জার চেয়ে এখন বড়, ডাল ভাত খেয়ে দিন পার। সংসারের ব্যয় সামাল দিতে, তাই ভিড় বাড়ছে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনায়।
নাসরিন আকতার। রোদের মধ্যে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের লাইনে মধ্য বয়সী এই নারী। লাইনে দাঁড়িয়েই জানান সংসারের হাল। স্বামীর আয়ে সংসার টানতে কষ্টই যেন তাকে নিয়ে এসেছে এখানে। তার হিসাব, টিসিবি থেকে মাসের চার পণ্য নিতে পারলে সাশ্রয় হয় হাজার টাকা।
রামপুরায় চাল আটা কিনতে লাইনে সোহেল। তারও একই কথা। গেল দেড়টা বছর ধরে এভাবেই টেনেটুনে চলছে সংসার।
বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করে। গরীবের জন্য আয়োজন হলেও এখন তা মধ্যবিত্তের দখলে। বাড়ছে তাদের লাইন। উদ্দেশ্য খরচ বাঁচিয়ে টিকে থাকা। তবে অব্যবস্থাপনার যেন শেষ নেই।

টিসিবি বিক্রি করছে, ডাল, তেল, চিনি আর পেঁয়াজ। বাজারে এসব পণ্যে হাত দেয়া কঠিন। তাই, সামাজিক সম্মান আর আটকাতে পারছে না মধ্যবিত্তকে।
দিন যায় আর লাইন দীর্ঘ হয়। সীমিত বরাদ্দে অনেকে ফেরেন পণ্য ছাড়াই। তাই ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তাদের।
খাদ্য অধিদপ্তর ট্রাকে করে খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি চাল আর ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছে।
