
পদ্মাসেতুকে ঘিরে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে জাজিরা প্রান্তের বাসিন্দারা। তাদের প্রত্যাশা, ঢাকার সাথে সরাসরি যোগযোগের সুবিধা নিয়ে এখানে নতুন নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে।
বেকারত্ব কমবে। কাজের খোঁজে যেতে হবে না দুরে কোথাও। সব মিলে এই সেতু নিয়ে আসবে আর্থিক ও পারিবারিক সমৃদ্ধি।
বাদাম চাষী রাশিদ মিয়া। বাড়ি পাইন পাড়ার মাঝিরকান্দি গ্রামে। পদ্মার গভীরে বিলিন হয়ে গেছে তার বহু জমি। দুই তিন খানি বাদামের ক্ষেত, এই যা সম্বল। চার সন্তানের তিন জনই গাজীপুরের বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ করেন। উৎসব পার্বনে পরিবারের সবাই মেলেন এক সাথে।
পাশেই বাদাম ছাড়ানোর কাজ করা বৃদ্ধ হাজেরা বেগমের গল্পটা আরও নিদারুন। নিজের জমি নেই। জীবিকার দায়ে সন্তানরাও থাকেন বহুদুরে। জীবনের গোধুলি বেলার একাকিত্ব তাকে পোড়ায় বেশ!
এই দুঃখের মাঝেও রাশিদ ও হাজেরার মুখে কিঞ্চিৎ হাসি। তার কারণটিও এখন দৃশ্যমান, সেটি পদ্মাসেতু।
তাদের প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস, সরাসরি যোগাযোগ তাই স্থাপিত হবে মিল ফ্যাক্টরি কলকারখানা। সেখানে কাজ করে উপার্জন, সঙ্গে এক আঙ্গিনায় বসবাস।
মাঝি হোসেন আলি নৌকাটা মেরামত করছেন। তিনি জানান, নৌকার দিন শেষ হয়ে এলো তাই নয়া নৌকা বানাননি। পুরনো পেশা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও বিশ্বায়নের মিছিলে যুক্ত হবেন। এই নিয়ে আপ্লুত তিনিও। এমন আশার দীপ জ্বলছে এই অঞ্চলের সবার লাখো মানুষের মনে।
আব্দুল্লাহ শাফীর/ফই
