
বিদেশে আদালতের দণ্ড পাওয়ায়, এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা নিয়ে আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
আইনজীবীরা বলছেন, এ বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আদালতে একটি রিট হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা আসতে পারে বলে আশা করছেন তারা।
সংবিধানে রয়েছে, কোনো সংসদ সদস্য ফৌজদারি মামলায় কমপক্ষে ২ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হলে, তিনি মুক্তি পাওয়ার পর, পাঁচ বছর সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বিদেশে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে কি হবে, তা নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা।
এমন অবস্থায়, কুয়েতে মানবপাচারের মামলায় চার বছরের সাজা পাওয়ায়, লক্ষ্মীপুরের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের ক্ষেত্রে কি হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কোন এমপি ফৌজদারি অপরাধ করে সাজা পেলে তার এমপি পদ বাদিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দেশের আইন অনুযায়ী এমপি পাপুলের কুয়েতের আদালতে সাজা হওয়াতে পদ বাতিল হয়ে গেছে।
আর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সাংবিধানিক ব্যাখ্যা।
খুরশিদ আলম খান আরও জানান, বিদেশে সাজা হলে এমপি পদ থাকবে কিনা তা নিয়ে আইনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
পাপুলের সংসদ সদস্য পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে একটি রিট বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। আইনজীবীরা আশা করছেন, এই রিটের শুনানিতেই আসতে পারে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা।
মানবপাচার চক্রের হোতা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুল, গত বছরের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন। ছয় মাস শুনানি শেষে, তাকে চার বছরের জেল ও ৫৩ কোটি টাকার বেশি অর্থদণ্ড দিয়েছে, দেশটির আদালত।
ফাহ/ফই
