
আবারও পেঁয়াজের ঝাঁজে তপ্ত বাজার। ক্রেতাদের কাছে যা হয়ে উঠেছে অসহনীয়। রোববার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানিনীতি সংশোধন করে পেঁয়াজকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় নিলে, পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় দেশটি।
এ খবর পাওয়া মাত্র দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ে পেঁয়াজের দাম। ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে বর্তমানে তা ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
কাঁঠাল বাগানের বায়েজিদ চাকুরী করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। মাস শেষে যা বেতন পান তাই দিয়ে চলে টানাটানির সংসার। মাসের বাজার-খরচটাও রাখতে হয় হিসাবের মধ্যে।
কিন্তু গেল কয়েক সপ্তাহে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে, বিপাকে পরেন বায়েজিদের মতো আরও অনেকেই। মাসের হিসেবটাও যেনো হয়ে যায় এলোমেলো।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গেল ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য, টনপ্রতি ৮৫০ ডলারে বেঁধে দিলে, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। এবার বাড়লো আরেক দফা।
বর্তমানে দেশের বাজারে যে পেঁয়াজ মজুদ আছে তা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার আগে পূর্বমূল্যেই রপ্তানি করেছে আমদানীকারকরা। তার পরেও কেনো কারা ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দিচ্ছে দাম। তবে কি এটা কোনো সিন্ডিকেটের জাল? সরকার এদের বিরুদ্ধে নেবে কি কোনো ব্যবস্থা?
এমন প্রশ্নের জাবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজারে যথেষ্ঠ পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে আমদানিও হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে মনিটরিং টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও এর অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রধান করে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং টিমগুলো পেঁয়াজের উৎপাদনস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষন করবে।’
হঠাৎ করে পেয়াজের দাম বাড়ার পরেই খোলা বাজারে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টিসিবি মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, এরই মধ্যে মিসর ও তুরস্ক থেকে দুই জাহাজ পেঁয়াজ বন্দরে ভিড়েছে। আমদানি প্রক্রিয়ায় আছে আরও কয়েকটি জাহাজ।
সাইফুল শাহীন/ফই
