
নির্বাচন ঘিরে ফুরফুরে মেজাজে আওয়ামী লীগ। এখনো বিরোধীদের বড় কর্মসূচি নেই। দলের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক কৌশলও কাজে দিয়েছে।
এসবে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন, মনে করেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এখন কেবল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার চাপ অনুভব করছে দল।
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাস দেড়েক পরই তফসিল। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী জোটের মিছিল সমাবেশের উত্তাপ দেশজুড়ে।
এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিদেশি তৎপরতাও যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল অনড় অবস্থানে। মাঠের রাজনীতি নিয়ে শঙ্কা থাকেলেও, আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন ঘিরে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা মিত্রদের তৎপরতা, বিশেষ করে ভিসা নীতি ও স্যাংশনের কারণে সরকার চাপে। মুখে স্বীকার না করলেও, বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মন্তব্যে স্পষ্ট। কী হচ্ছে, সামনে কী হবে এমন প্রশ্নে তৃণমুলও দোলাচলে অনেকটা।
গত জুলাইয়ের পর বড় কোনো কর্মসূচি নেই বিরোধীদের। উল্টো ক্ষমতাসীন দল ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো বড় শো-ডাউন দিয়ে জনপ্রিয়তা দেখানোর চেষ্টা করেছে।
এমন অবস্থায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা আগমন। জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর। এসবে অনেকটাই চাপমুক্ত দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম এই সদস্য মনে করেন, চাপ যা আছে, তা কেবল একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা নিয়ে।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে তিন ভাগে বিভক্ত। যা নিয়ে খুব বেশি চিন্তার প্রয়োজন নেই। বরং টানা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তারা।
আব্দুল্লাহ শাফী/ফই
