
ধারণা করা হয় বইয়ের ব্যবসা সফল হয় না, কিন্তু ‘বাতিঘর’ তার ব্যতিক্রম। সুনির্বাচিত বই আর পাঠকের চাহিদা মত বই সরবরাহ করে চট্টগ্রামে আলোড়ন তুলেছে এই বুকশপ। সম্প্রতি ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে বড় পরিসরে যাত্রা শুরু করেছে তারা। ‘বাতিঘর’-এর এই সাফল্যের রহস্য কি? এসব জানতে নাগরিক কথা বলেছে ‘বাতিঘর’-এর স্বত্বাধিকারি-উদ্যোক্তা দীপঙ্কর দাশের সাথে।
সাক্ষাতকার নিয়েছেন-শুভ কিবরিয়া।
নাগরিক: চট্টগ্রামে ‘বাতিঘর’ শুরু করেছিলেন কত বছর আগে ?
দীপঙ্কর দাশ: ১২ বছর। ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল।
নাগরিক: ১২ বছর পরে ঢাকায় কেন ? ঢাকার বাতিঘরে বিশেষত্ব কি থাকছে ?
দীপঙ্কর দাশ: চট্টগ্রামের বাতিঘরের পরিচিতি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিল। এর শুভাকাঙ্খীরা অনেকদিন ধরেই বলছিলেন ঢাকায় বাতিঘরের একটা শাখা করা যায় কি না। অনেক বই পাঠকরা ঢাকায় পেত না। আমাদেরকে কল করত, ফেসবুকে মেসেজ করত, মেইল করত বইয়ের জন্য। আমরা বই কুরিয়ার করে দিতাম। তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম আমাদের বইয়ের যে সংগ্রহ আছে এটার বিষয়ে পাঠকের আগ্রহ আছে। এভাবেই ঢাকায় বাতিঘরের একটি শাখা করার প্রয়োজন অনুভব করলাম। এভাবেই শুরু…।
আর বিশেষত্ব বলতে ঢাকা যেহেতু রাজধানী শহর তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে আমাদের সংগ্রহশালাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলার। এর মধ্যেই আমরা পেঙ্গুইন, হারপার কলিন্স, রূপা, ম্যাকমিলান ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকাশনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তাদের প্রকাশিত বইগুলো আমরা বাতিঘরে বিক্রি করব। এসব প্রকাশনীর আলাদা কর্নার থাকবে বাতিঘরে। এসব প্রকাশনীর বই ঢাকায় তেমন পাওয়া যেত না।
চট্টগ্রামে শুরুতে আমরা এতো বই সংগ্রহ করতে পারিনি। শুরুতে আমাদের সংগ্রহে বই ছিল ৪০ হাজার। ঢাকায় আমরা ১ লক্ষ বই দিয়ে শুরু করেছি। এখানকার বাতিঘরের ইন্টেরিওর ডিজাইনটা একটু অন্যরকম।
নাগরিক: এখন একটু ডিজাইনের কথায় আসি। চট্টগ্রামে বাতিঘরের ডিজাইনটি ছিল জাহাজের আদলে, ঢাকায় মুঘল স্থাপত্য। বিশেষ কোন কারণ আছে কি ?
দীপঙ্কর দাশ: চট্টগ্রামে যখন শুরু করি তখন জাহাজের আদলে ছিল। ঢাকায় মুঘল স্থাপত্যের আদলে করা হল। এটা অন্যরকমের একটা মাত্রা দেয়ার জন্য। এটা শুধু একটা বুক স্টোর না, একটা এলাকার ঐতিহ্যকে ধারন করার চেষ্টা। আর ডিজাইনটা লালবাগ কেল্লার আদলে হওয়ার কারণ হল স্ট্যাচু অব লিবার্টি যেমন নিউইয়র্কের, আইফেল টাওয়ার যেমন ফ্রান্সের, তাজমহল যেমন আগ্রার ঐতিহ্য বহন করে তেমনি লালবাগ কেল্লার মাধ্যমে ঢাকার পরিচিতিটা ফুটে ওঠে। ঢাকার ইতিহাসে লালবাগ কেল্লার একটা ভাল প্রভাব রয়েছে। সে কারণেই আমরা লালবাগ কেল্লাসহ অন্যান্য মুঘল ঐতিহ্যকে আমাদের বাতিঘরে ধারন করার চেষ্টা করেছি।
নাগরিক: আপনাদের বুকস্টোরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি?
দীপঙ্কর দাশ: বাতিঘর একটা বইয়ের সংগ্রহ। এত বড় বইয়ের সংগ্রহ আর কোথাও নাই। শুধু বড় না সুনির্বাচিত বইয়ের সংগ্রহ। আমরা এখানে সব বই রাখি না, পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী বাছাই করা বইগুলো রাখি। আমরা একটু সিলেক্টিভ থাকার চেষ্টা করি। পাঠকরা কি চায় সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করি। আশা করছি মানুষ এখানে সুন্দর একটা সংগ্রহ পাবে। এটাই বাতিঘরের বিশেষত্ব।
নাগরিক: ঢাকায় বাতিঘর বুকস্টোর হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভবনে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে এই বুকস্টোরের কি কোন সম্পর্ক আছে?
দীপঙ্কর দাশ: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক কোন সম্পর্ক নাই। এটা একটা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, এখানে সেই অর্থে কাউকে ভাড়া দেয়া হয় না। কিন্তু এখানে বাতিঘর বুকস্টোরের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জায়গা দিয়েছে। এই জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
নাগরিক: বাতিঘরের আয়তন কতটুকু?
দীপঙ্কর দাশ: ৫০০০ বর্গফুট।
নাগরিক: এখানে কি বই কেনার পাশাপাশি পড়ারও সুযোগ থাকছে ?
দীপঙ্কর দাশ: অন্যান্য বুক স্টোরগুলোতে পাঠকদের বই পড়ার তেমন সুযোগ থাকে না। আমাদের এখানে বই কেনার আগে ভালোভাবে দেখার সুযোগ থাকছে।
নাগরিক: বাতিঘরে কি বই হোম ডেলিভারির বাবস্থা থাকবে ?
দীপঙ্কর দাশ: হ্যাঁ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী যদি কোন বই আমাদের সংগ্রহে না থাকে তাহলে আমরা সেই বই এনে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করি। এটা আমাদের সেবার অন্যতম অংশ। কাস্টমারদের সাথে যেন একটা আত্মিক সম্পর্ক হয়ে যায় সেই চেস্টা আমরা করে থাকি।
নাগরিক: এখন তো অনলাইনের যুগ। প্রিন্টেড বই কি মানুষ কেনে? আপনার অভিজ্ঞতা কি?
দীপঙ্কর দাশ: শুধু বাংলাদেশেই না, সারা বিশ্বে বই টিকে আছে দাপটের সঙ্গে। এখনও ই-বুক ১০% বাজারও ধরতে পারেনি। সুতরাং বলা যায় প্রিন্টেড বই টিকে আছে, থাকবে।
নাগরিক: আপনি বলতে চাচ্ছেন বইয়ের বিক্রি বাড়ছে, কমছে না ?
দীপঙ্কর দাশ: হ্যাঁ, বাড়ছে।
নাগরিক: এটা কি দেশি বই না বিদেশী বই ?
দীপঙ্কর দাশ: দুটোই
নাগরিক: শাহবাগের আজিজ মার্কেটে একসময় অনেক বইয়ের দোকান ছিল। কিন্তু এখন বইয়ের দোকানের জায়গায় পোশাকের দোকান গড়ে উঠছে। অনেক দোকানিরা বলছে বই বিক্রি আর আগের মতো নেই। এই অবস্থায় আপনি এতো বড় একটা বইয়ের দোকান করছেন। আপনি বাজারে টিকে থাকবেন কিভাবে ?
দীপঙ্কর দাশ: আমরা বাতিঘরকে শুধুমাত্র একটা বইয়ের দোকান হিসেবে দেখি না। এটা একটা কালচারাল স্পেস। এখানে সাহিত্যিক আড্ডা, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা ও আদান প্রদানের ব্যবস্থা আছে। বইয়ের দোকান কমে যাচ্ছে এটা সত্য। আমার মনে হয় সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তারা সেভাবে পরিবর্তিত হতে পারেনি। এটাই বইয়ের দোকান কমে যাওয়ার প্রধান কারণ বলে আমার মনে হয়। অনেক বইয়ের দোকানে পাঠকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বই খুঁজে পায়না। আমি বাতিঘর শুরু করার আগে পরে অনেক বইয়ের দোকানে গিয়েছি, এখনও যাই। কিন্তু আমি আমার চাহিদা অনুযায়ী বই সেই স্টোরগুলোতে খুঁজে পাই না।
আগে গল্প উপন্যাসের বই খুব চলত কিন্তু এখন মানুষ ইনফরমেটিভ বই পড়তে পছন্দ করে। পৃথিবীতে এই ধরনের বই বেশি বের হচ্ছে। ফলে টিকে থাকতে হলে এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। মানুষের চাহিদার পরিবর্তনের সাথে যদি আমাদের বইয়ের সংগ্রহের পরিবর্তন না ঘটে তাহলে টিকে থাকা মুশকিল। আমরা ওই জায়গাটা ধরার চেষ্টা করছি, মানুষ কি চায়, পাঠকরা কি চায় ?
নাগরিক: এতো বড় বইয়ের দোকানে বিনিয়োগ করছেন কিভাবে ?
দীপঙ্কর দাশ: বাতিঘর চট্টগ্রামের শাখা থেকে অর্জিত অর্থ আর ব্যাংক লোন নিয়ে ঢাকার বাতিঘরে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
নাগরিক: এখানে বিনিয়োগ কি আপনার একক। না অংশীদার আছে?
দীপঙ্কর দাশ: এককভাবেই আমার বিনিয়োগ।
নাগরিক: আচ্ছা ‘বাতিঘর’ নামটা নির্বাচন করলেন কিভাবে ?
দীপঙ্কর দাশ: কবিতার বই থেকে আমি বাতিঘরের নামের আইডিয়াটি পেয়েছি। বইয়ের দোকানের জন্য বাতিঘর নামটি আমার অর্থবহ মনে হয়েছে। আমরা বাতিঘর নামটি দিয়েছি ১২ বছর হলো। এই ১২ বছরের মধ্যে বাতিঘর নামটি অনেক জায়গায় ছড়িয়ে গেছে।
নাগরিক: বইয়ের বাবসায় নিজেকে জড়ানোর পেছনে প্রণোদনা কি ছিল?
দীপঙ্কর দাশ: আমি আমার এলাকা চট্টগ্রামের পটিয়াতে সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। পরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হলাম। এখানে কাজ করতে গিয়ে একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করলাম যে পাঠকরা সবসময় তাদের চাহিদা অনুযায়ী বই পায় না। আমার কাছেও অনেকে বই খোঁজ করত আমি দিতে পারতাম না। সেই সময়ে বইয়ের দোকান কমে যাচ্ছিল। তখন থেকেই পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী একটা বইয়ের সংগ্রহশালা করার কথা অনুভব করলাম। চট্টগ্রামে শুরু করলাম ছোট একটি জায়গায়। তখন আয়তন ছিল ১০০ বর্গফুটের মতো। সেই সময় অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। পরে ২০১২ সালে এসে আমরা চট্টগ্রামের বাতিঘরের আয়তন বাড়াই।
নাগরিক: বাংলা বইয়ের বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ কেমন বলে আপনার মনে হয়?
দীপঙ্কর দাশ: ভবিষ্যৎ তো ভাল। বাংলা বিশ্বের ৮ম বৃহৎ ভাষা এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ছড়িয়ে আছে। সেহেতু বাংলা ভাষার বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
নাগরিক: মানসম্পন্ন নতুন লেখক কি তৈরি হচ্ছে ?
দীপঙ্কর দাশ: এখন আগের মতো মানের নতুন লেখক তৈরি হচ্ছে না। লেখালেখি করে সফল হচ্ছে এরকম তরুণের সংখ্যা খুব কম। মেধাবী তরুণরা লেখালেখির ওপর আকৃষ্ট হচ্ছে কম।
নাগরিক: মানুষ কি ধরনের বই পছন্দ করে? ফান না সিরিয়াস বই ? আপনি তো বহু বছর বইয়ের সাথে আছেন। আপনার পর্যবেক্ষণ কি ?
দীপঙ্কর দাশ: নন ফিকশন বইয়ের পাঠক এখন প্রচুর বেড়েছে। যেমন ইতিহাস, ভূগোল আর রাজনীতি নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আগে মানুষ গল্প উপন্যাস বেশি পড়ত। এখন সেটা কমে গেছে। আমাদের দেশের মানুষ রাজনীতি নিয়ে জানতে আগ্রহী। এই বিষয়ের বই ভাল বিক্রি হয়।
নাগরিক: আপনি বই বিক্রি বাড়ালেন কি উপায়ে?
দীপঙ্কর দাশ: বন্ধু-বান্ধব যারা আমরা বই পড়তাম তাদের মধ্যে একটা যোগাযোগ ছিল। আমাদের কাছে যারা আসতো তাদের আমরা উৎসাহিত করতাম, যেন অন্যদের কাছে বাতিঘরের আয়োজনের খবরটা পৌঁছান। একজন থেকে আরেকজন, এভাবেই ছড়িয়ে গেলো মোটামুটি। মুখেমুখে ছড়িয়ে গেলো যে প্রত্যাশিত বইগুলো বাতিঘরে পাওয়া যায়। আমরা চেষ্টা করলাম যেন বইয়ের ভাল সংগ্রহ রাখতে পারি। যাতে এখানে আসলেই একজন মুগ্ধ হয়। বইয়ের প্রসঙ্গ এলেই একজন আরেকজনকে বাতিঘরের কথা বলতে পারে। এবং প্রয়োজনীয় বইটা যেন সে পায়। তারপরও চাহিদামত কোন বই যদি না থাকে তাহলে সেটা ক্রেতাকে যোগাড় করে দেবার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।
এভাবে পাঠকদের কাছে একটা রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা ছিল আমাদের। এটার কারণে আমার ধারনা বাতিঘর ক্রেতা-পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে।
নাগরিক: ইংরেজি বইয়ের ক্রেতা আছে বলছিলেন। ইংরেজি বইয়ের ক্রেতা-পাঠক কারা?
দীপঙ্কর দাশ: ইংরেজি বই পড়ার লোক এখন বেড়েছে। বাংলা মিডিয়ামে যারা একটু ভালো ষ্টুডেন্ট তারাও পড়তে পারে। আর ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া একটা বড় পাঠক গোষ্ঠি ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে দেশে।
নাগরিক: এক যুগের মধ্যে বাতিঘর একটা সাফল্যের জায়গা পেয়েছে। এই সাফল্যের রহস্য কি ?
দীপঙ্কর দাশ: শুরু থেকেই আমরা ‘বাতিঘর’-কে একটা কেনাবেচার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করি নাই। এখানে যারা আসেন তাদের মধ্যে একটা সোসাল রিলেশনও তৈরি হয়। সেটা খুব বড় একটা ব্যাপার। পাঠকদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। পাঠকদের দিক থেকে এটা একটা সোশাল গেট-টুগেদারের মতো দাড়ায়। যাতে ক্রেতা-পাঠকরা ভাবেন যে তারাও বাতিঘরের অংশ। পাঠক- ক্রেতাদের এই ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
নাগরিক: ঢাকা বা চট্টগ্রামের বাইরে কি বাতিঘর করার পরিকল্পনা আছে?
দীপঙ্কর দাশ: আমাদের স্বপ্ন আছে দেশের বিভাগীয় জেলা শহরে বাতিঘরের শাখা করার। সামর্থ্যের অভাবে আমরা এখন তা করতে পারছি না। তবে অবশ্যই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে।
নাগরিক: বিদেশে কি বাতিঘরের কোন শাখা করার পরিকল্পনা আছে ?
দীপঙ্কর দাশ: দেশের বাইরে নিউইয়র্ক, সিডনি, প্যারিস, কলকাতা যেসব জায়গায় বাঙালির সংখ্যা বেশি সেই জায়গায় যৌথভাবে বাতিঘরের কোন শাখা করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। কয়েকজনের সাথে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত হয় নাই।
নাগরিক: আপনার স্বপ্ন কি? আপনি কোথায় যেতে চান ?
দীপঙ্কর দাশ: বইয়ের সাথেই আজীবন থাকতে চাই। দেশের মধ্যে একটা ভাল পাঠক শ্রেণি তৈরি হোক সেটার চেষ্টা থাকবে। এটা শুধু আমাদের একার চেষ্টায় হবে না, সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বাতিঘর সফল হওয়ার পর সবার মধ্যে ধারনার পরিবর্তন ঘটেছে যে এই জায়গাতেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
****
প্রকাশিত মতামত সাক্ষাৎকার প্রদানকারির একান্তই নিজস্ব। নাগরিক কর্তৃপক্ষ সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোন দায় নেবে না।
ফাই/জাআ//
