
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন কমছে, তখন দেশের ইতিহাসে এক লাফে সর্বোচ্চ দাম বাড়িয়ে দেশবাসীকে অবাক করে দিয়েছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে, উসকে দেবে মূল্যস্ফীতি। কেবল প্রজ্ঞাপন দিয়ে এভাবে দাম বাড়ানো আইনের লঙ্ঘনও বলছেন তারা।
বিশ্ব বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। এ সপ্তাহেই মূল্য গত পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন। তার পরেও দেশে জ্বালানির দাম এক ধাক্কায় গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতে তেল পাচারের ঝুঁকি কমাতেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন গত ছয় মাসে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুণেছে।
তবে ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ডাব্লিউটিআই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত মার্চে দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। সে হিসেবে কমেছে ২৯ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের মধ্যে দেশের বাজারে ডিজেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, চাহিদার প্রায় ৭৩ শতাংশ। এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের পরিবহন খাতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর।
সাইফুল শাহীন
