
মাঝ নদীতে লঞ্চেই সন্তানের জন্ম দিলেন একজন নারী। ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে জন্ম নেয়, তার ফুটফুটে শিশু। নবজাতক ও তার বাবা-মা, আজীবন বিনামূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন, ঘোষণা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। দেয়া হয়েছে নগদ ১০ হাজার টাকা।
বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে ঝুমুর বেগম। স্বামী হারিসুর রহমানের বাড়ি জামালপুরে, কাজ করেন নারায়ণগঞ্জে একটি মুরগির দোকানে।
সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ সন্তান প্রসবের সময় নির্ধারিত ছিলো ঝুমুরের। সেই প্রস্তুতি নিয়েই স্বজনদের সঙ্গে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ নামের লঞ্চে করে।
ঘটনার বর্ণনায় লঞ্চের সহকারি সুপারভাইজার বলছেন, রাতে লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল নৌ-বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লঞ্চের প্রথম তলার ডেকে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় ঝুমুরের।
ভাগ্যক্রমে লঞ্চেই মিলে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নার্সের। সেই সাথে অন্য আরেক নারীর সহায়তায় সন্তান প্রসব করেন ঝুমুর।
মা ও নবজাতক দুইজনে সুস্থ আছেন জানিয়ে সহকারি সুপারভাইজার জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে লঞ্চ বরিশাল নৌ-বন্দরে ভিড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই নারী তার নবজাতককে নিয়ে লঞ্চ থেকে নেমে যান। এসময় নবজাতককে দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।
লঞ্চে জন্ম নেয়ায় শিশুসহ তার বাবা ও মা আজীবন ফ্রিতে যাতায়াত করতে পারবেন জানিয়ে সহকারী সুপারভাইজার জানান, “লঞ্চ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আওলাদ শিপিং লাইন্সের পরিচালকের পক্ষ থেকে শিশুটিকে নগদ ১০ হাজার টাকা উপহারও দেয়া হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন/ফই
