
আয় খেয়ে ফেলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। গত ৯ মাস ধরে সরকারি হিসাবেই ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নামেনি। এ অবস্থায় নতুন বাজেটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো। অবশ্য, বড় পদক্ষেপ না নিয়ে নতুন অর্থবছরে লক্ষ্য ঠিক করছে ৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের বছরে সরকারেরও অস্বস্তি এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি।
জিনিসপত্রের দামের কারণে মানুষ সংসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। যদিও সরকারের হিসাবে, গত এক বছরে মানুষের আয় বেড়েছে, মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু সবই কাগজে-কলমে।
মানুষ আশা করছে, বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর পদক্ষেপ থাকবে। নির্বাচনের বছর, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অস্বস্তিতে সরকারও। যদিও নিয়ন্ত্রণে নেই বড় পদক্ষেপ। তারপরও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর লক্ষ্য ঠিক করা হচ্ছে ৬ শতাংশ।
গত ৯ মাসে মূল্যস্ফীতি কখনো ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নীচে নামেনি। সবচেয়ে কষ্টে আছে শহরের নিম্নবিত্ত। অবশ্য, সরকার করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে, কিছুটা স্বস্তি দিতে চায়। তবে, তাতে কি বাজার আগের অবস্থায় যাবে?
চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বলেছিলেন, এটি থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। কিন্তু সেটি হয়নি। বাজার, সরবরাহ ব্যবস্থায় নজরদারি আর শক্ত পদক্ষেপ ছাড়া মানুষের রেহাই মিলবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মূলত, মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে আয়। অনেক দেশে এটি কমলেও, বাংলাদেশে কমার লক্ষণ নেই।
ফই//
