
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে মৃত পশুর মাংস পাচার করা হত বাংলাদেশে ! পুলিশের অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮ ।
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় প্রক্রিয়াজাত করে ছোট ছোট প্যাকেটে বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হত এবং পাচার হত নেপাল ও বাংলাদেশে।
এদিকে মৃত পশুর মাংস পাচারের অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর আটকদের কাছে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতায় একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে বিপুল পরিমাণে মৃত পশুর মাংস উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
আনন্দবাজার পত্রিকায় আরও জানা যায়, কলকাতার সেই কোল্ড স্টোরেজ থেকে কুকুরের মাংসও সরবরাহ করা হট রয়েছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে। তবে কোন পশুর মাংস বাংলাদেশে পাচার করা হত তা উল্লেখ করেনি সংবাদ মাধ্যমগুলো।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর পর পশুর দেহ ফেলা হত ভাগাড়ে। সেখান থেকে মৃত পশু তুলে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। মেশানো হত নানান রাসায়নিক উপাদান, যাতে পচা মাংস দেখে কোন গন্ধ না বেরোয় এবং টাটকা দেখায়।
নিউজ ১৮ আরও জানিয়েছে, ভাগাড় থেকে মাংস বিক্রি হত প্রতি কেজি ১০০ টাকায় । কোল্ড স্টোরেজে রাখার ব্যয় কেজি প্রতি ১৫০ টাকা। সবমিলিয়ে ২৫০ টাকায় বাজারে বিক্রি হত মৃত পশুর মাংস।
এদিকে, ফরেনসিক পরীক্ষায় বোঝা যাবে, কোন পশুর মাংস এবং কতদিন আগে সেই পশুর মৃত্যু হয়েছিল। উদ্ধারকৃত মাংসের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জাআ//

ইন্ডিয়ার সকল পণ্য আমাদের বর্জন করা দরকার।