
যশোরে আশঙ্কাজনক হারে নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। গরম শুরুর আগেই এ স্তর নেমেছে রেকর্ড ১০ মিটার নিচে। অকেজো হয়ে পড়েছে অসংখ্য টিউবওয়েল।
ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ। কৃষকের পাশাপাশি বিপাকে সাধারণ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবেই এ অবস্থা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যশোর প্রতিনিধি আমিনুর রহমান মামুনের রিপোর্ট।
গত কয়েক বছর ধরেই যশোরের পানির স্তর নিম্নমুখী। বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায়, প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে ক্রমান্বয়ে নলকূপগুলোতে পানি ওঠা বন্ধ হতে থাকে। তবে চলতি বছর গরম শুরুর আগেই, এ স্তর নেমেছে রেকর্ড ১০ মিটার নিচে।
গত বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পানির সংকট দেখা দিয়েছিলো। এবার সে সংকট শুরু হয়েছে প্রায় দু’মাস আগেই। জেলার অন্তত এক তৃতীয়াংশ নলকূপ থেকে এরই মধ্যে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে।
পানির লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল ও ডিজেল খরচ হওয়ায় বাড়ছে উৎপাদন খরচও।
বিএডিসি’র গত ১২ বছরের তথ্যানুযায়ী, গ্রীষ্মকালে যশোরে গড়ে ৭ মিটারের নীচে নেমেছে পানির লেয়ার। এরমধ্যে ২০১০ সালে পানির লেভেল নেমেছিলো ৭ দশমিক ৬৬ মিটার। আর সবশেষ ২০২২ সালে ৭ দশমিক শূন্য আট মিটার।
বৃষ্টির অভাব ও অপরিকল্পিতভাবে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহারকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত উপরিস্তরে পানির রিজার্ভ বাড়ানো না গেলে, মরণব্যাধীর পাশাপাশি ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে প্রকৃতি ও পরিবেশ। বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিরাজুম মুনির/ফই
