
রাজধানীতে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য বিদেশ থেকেও লোক আনা হতো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বুধবার অভিযান চালানো ক্যাসিনোগুলো থেকে, বিদেশিদের পাসপোর্টও উদ্ধার হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, ঢাকায় ক্যাসিনো থাকার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধূরী। কেনো এতোদিন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভও জানিয়েছেন তিনি।
ক্যাসিনো রয়েল, জেমস বন্ড সিরিজের জনপ্রিয় সিনেমা। যেখানে দেখানো হয় বিভিন্ন্ ক্যাসিনোকে ঘিরে কী ধরনের অপরাধচক্র গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশেও এ ধরনের ৬০টির মতো ক্যাসিনো রয়েছে, এমন খবর রয়েছে গণমাধ্যমে। জানা গেছে, এসব ক্যাসিনো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নেপাল ও চীন থেকে দক্ষ লোকও আনা হয়েছে।
সঞ্জয় নামের তেমন একজন নেপালির খোঁজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যিনি ফকিরেরপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
ফকিরেরপুলের যে এলাকায় ইয়াংমেনস ক্লাব ক্যাসিনো, তার ২শ মিটারের মধ্যেই রয়েছে মতিঝিল থানা। সাধারণ মানুষের মতো অবাক যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধূরীও। এতোদিন কেন পুলিশ কিছু জানলো না, বিস্ময় তার। সংবাদমাধ্যমেও কেনো কিছু আগে আসেনি, এমন প্রশ্নও করেছেন তিনি।
অবশ্য, গত কয়েক বছরে অনেকবারই এসব অবৈধ ক্যাসিনো নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। সেসব প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই পরিচালিত হয়ে আসছে এসব জুয়ার আখড়া।
আব্দুল্লাহ শাফী/ফই
