
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শতভাগ বই। মাধ্যমিক স্তরের ৯৫ শতাংশ বইও পৌছে যাবে শুক্রবারের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে। সংবাদমাধ্যমগুলোকে এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে, ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিকতায়, বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে দেশের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে বই দেওয়া হবে।
বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর দুই মন্ত্রণালইয়েরই দাবি, গত দুই বছরের চেয়ে এবার অপেক্ষাকৃত ভালো ছাপা ও বাঁধাইয়ের বই দেওয়া হচ্ছে।
তবে তারা সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে বলেন, মানসম্মত বইয়ের মধ্যে যদি বাতিল বই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বক্ষণিক পরিদর্শনের কারণে এবার বইয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘করোনা সংকটের মধ্যে ভালো বই দিতে পেরেছে মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। বই ছাপার সময়ও পরিদর্শন অব্যাহত ছিল। এসব কারণে মান ভালো হয়েছে। ’অন্যদিকে সঠিক সময়ে বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকলের চেষ্টায় প্রাথমিকের বই আগেই প্রস্তুত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিকের সব বই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই পৌঁছে যাবে, এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাথমিকের সব বই উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে। অল্প সংখ্যক বই শনিবারের (১ জানুয়ারি) মধ্যেই পৌঁছে যাবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে।
