
নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ষড়যন্ত্র করে বাধা দেয়া হয়েছে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নকে ঝুলিয়ে দেয়। খরচ বাড়ে প্রকল্পটির। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ষড়যন্ত্র নির্মাণ পিছিয়ে না দিলে, আরও আগেই জিডিপির আকার বড় হতো। বদলে যেতে, দেশের অর্থনীতির চিত্র।
পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের বিষয়। এটি শুধু সেতুই নয়, পদ্মা সেতু হবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি নির্মাণে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
পুরোপুরি বাংলাদেশের অর্থায়নে তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতু৷ টোলও চূড়ান্ত হয়েছে, সেতুর ওপর প্রতিদিন ২৭ হাজার যানবাহন চলাচলের আশা করা হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্মাণ ব্যয়ের তিনগুন জিডিপিতে যুক্ত করবে এই সেতু।
ষড়যন্ত্র করে পিছিয়ে নির্মাণ উদ্যোগ। বারবার খরচ আর প্রকল্পের সময় বাড়ায় সেই ধাক্কা বেড়েছে আরও বেশি। নির্মাণের শুরুতে এর ব্যয় বনাম সুফলের অনুপাত ছিলো প্রায় দ্বিগুণ। (গ্রাফিক্স ২)
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি এই অনুপাত ১ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনবে। আর সার্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব কমাবে ২০ শতাংশ। (গ্রাফিক্স ১)
তবে নির্মাণ শেষের পর একটু একটু করে বাড়তে থাকবে মুনাফার হার। পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় সেতু কর্তৃপক্ষকে এক শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে৷ ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে নির্মাণ ব্যয় উঠে আসার আশা সংশি¬ষ্টদের৷
কিন্তু ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে, কারণ মোংলা পোর্ট যে এত শক্তিশালী হবে, পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে সেগুলো কিন্তু ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি৷
ধারণা ছিল পদ্মা সেতু এক দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে৷ এখন দেখা যাচ্ছে, এটা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দুইয়ের কাছাকাছি চলে যাবে৷ সব বাধা ছাড়া যথা সময়ে ও যথাযথ ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা গেলে এই সুফল বাড়তো আরো বহুগুন।
শাহনাজ শারমীন/ফই
