
আসন্ন বাজেটে গরীবের দিকে ততোটা নজর না থাকলেও, সরকারি চাকুরেরা বাড়তি অর্থই পাবেন। বরাদ্দ বাড়ছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
তিন বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে তাদের জন্য। এ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীরও আক্ষেপ আছে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই খরচ কমিয়ে, সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার।
সরকারি চাকুরে হলে, আর কোনো চিন্তা নেই। সাধারণভাবে এমন ধারণাই করেন সবাই। চাকরি, বেতন, পেনশন- সবই নিশ্চিত। দেশের অন্যদের অবস্থা কী হবে, তা না ভাবলেও চলে।
মহামারি-যুদ্ধের প্রভাব যা-ই থাকুক না কেনো, তাদের বেতন-ভাতায় কোনো কমতি নেই। বেতন-ভাতাও বাড়ছে বছর বছর।
এখন আরেকটি বাজেটের মৌসুম। খসড়া হিসাব বলছে, সরকারের পরিচালন ব্যয় ঠিক হতে পারে ৪ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের চেয়ে যা ৫৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এবারও গরীবের দিকে নজর দুর্বল। ওদিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
নথিপত্র বলছে, সরকারি চাকুরজীবীদের ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেতনাদিতে খরচ ৫৭ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। সে হিসাবে তিন বছরে ব্যয় বাড়ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।
এই ব্যয় কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষায় বাড়তি মনোযোগের পরামর্শ দিয়েছেন সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রশাসনের কর্মচারীরা যে এতো নজর পান, তা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে খোদ পরিকল্পনামন্ত্রীরও।
অর্থনীতির দুর্বিপাকের এই বিশেষ মুহূর্তের বাজেটে, প্রশাসনিক ব্যয়েও কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
সাইদ আরমান/ফই
