
অভিবাসন সংক্রান্ত সংসদীয় ককাস চেয়ারম্যানের সচিব হিসেবে কাজ শুরু করলেও, আচরণ সন্তোষজনক না হওয়ায় নিয়োগ পাননি। তবু, ভিজিটিং কার্ডে জাতীয় সংসদের লোগো ব্যবহার করেছে চলেছেন, সিটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মনিরা সুলতানা।
সংসদ ভবনে প্রবেশের পাসও ফেরত দেননি তিনি। বিষয়টি গড়িয়েছে থানায়, সংসদ সচিবালয়ও তদন্তে নেমেছে। এদিকে, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে চলছে, তার পাল্টাপাল্টি মামলার লড়াই।
সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন মনিরা সুলতানা পপি। নানান অভিযোগ আর দীর্ঘদিন অফিসে অনুপস্থিত থাকায়, গের এপ্রিলে চাকরি হারান মনিরা। ওই মাসেই তিনি অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান ইসরাফিল আলমের সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন।
কিন্তু, আনুষ্ঠানিক কোনো নিয়োগ পাননি। আচরণ সন্তোষজনক না হওয়ায়, মাসখানেক পর, তাকে ককাস অফিস ছেড়ে দিতে বলা হয়।সংসদের অফিসে আর যাননি।
কিন্তু, অনুমতি ছাড়াই ককাস চেয়ারম্যানের সচিব পরিচয়ে, ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ডে সংসদের লোগো ব্যবহার করেন মনিরা সুলতানা। নেন নানান সুবিধা। ফেরত দেননি সংসদে প্রবেশের কার্ডও।
বিষয়টি ককাস অফিসের নজরে আসলে, গেল ১৫ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
চাকরি হারানোর পর, গেল ১৮ আগস্ট সিটি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন মনিরা।
২০ আগস্ট পাল্টা মামলায় মনিরার বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ, ব্যাংকের সুনাম নষ্ট, চাঁদা দাবি ও চাকরিতে পুনর্বহাল না করলে, এমডির সম্মানহানীর হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনে সিটি ব্যাংক। মামলা দুটি এখন তদন্ত পর্যায়ে আছে।
সিটি ব্যাংকের অভিযোগ, মনিরা চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে চারটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ২০১৭ সালে নিজের নামে ট্রেড লাইসেন্স করে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এল এম সি এন্টারপ্রাইজ চালু করেন।
তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেছে ডে-কেয়ার। বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ায় সেটিও সরিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিক।
ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনা, ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যক্তিগত ঋণসহ মনিরার কাছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা পাওনা আছে বলে দাবি সিটি ব্যাংকের। এ সব বিষয়ে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, সাড়া দেননি মনিরা সুলতানা। তার বাসায় গেলেও দেখা করেননি।
ফরহাদ হোসেন/ফই
