
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে।
৭ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সার্ক ফোয়ারার সামনে মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার সময় সাংবাদিকরা প্রশাসনকে ওই আলটিমেটাম দেন।
এসময় বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা প্রধান দীপ আজাদ বলেন, প্রশাসন উসকানিদাতার পরিচয় প্রকাশ করছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ আছে প্রশাসন চাইলে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ফুটেজ নিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা আহত হলে সমাজের অন্য সবাই আহত হন। অন্যদের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ থাকে। ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া চলমান আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারী, আন্দোলনবিরোধী ও পুলিশ- তিন পক্ষেরই হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দায়িত্বপালনরত সাংবাদিকরা।
এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, সাংবাদিকরা কারও প্রতিপক্ষ নন, তবু কেন তাদের ওপর এমন হামলা হচ্ছে? হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি পারভেজ খান বলেন, সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে। হামলাকারী সবাই চিহ্নিত হয়েছে। সরকার আন্তরিক হলে হামলাকারীরা আইনের আওতায় আসবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে সাংবাদিকদের আন্দোলন থেকে এবারের আন্দোলন ভিন্ন। এবার কোনো দলীয় সাংবাদিক পক্ষ আন্দোলন করছে না। এ আন্দোলনের সফলতা আসবে।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর গেল কয়েক দিন একের পর এক হামলা চালানো হয়। পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বেছে বেছে এমন হামলা চালায় হেলমেটধারীরা।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, নাগরিক টেলিভিশনের চিপ রিপোর্টার শাহনাজ শারমিন, বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার দীপন দেওয়ানসহ অন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
ফাই/জাআ//
