
সিলেট শহর থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বানের পানি। সুনামগঞ্জের হঠাৎ বন্যার আর অবনতি না হওয়ার আভাস দিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘারবাড়ি, ফসলী মাঠ, মৌসুমী ফলের বাগান আর যাতায়াত ব্যবস্থা। ঝড়ের কারনে বন্ধ ছিলো রেল ও নৌ রুট।
মে মাসের বন্যায় দেড় যুগ পর ঘরে পানি ঢুকতে দেখল সিলেট নগরবাসী। শহরে পানি কমলেও, জলমগ্নতা দীর্ঘায়িত হওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের পাশাপশি বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।
এদিকে উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যহত থাকায় সুরমা নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে ও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন। পানিবন্দী কয়েক লাখো মানুষ।
কোথাও কোথাও ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। নীচু এলাকায় বন্ধ সব যোগাযোগ ব্যবস্থা, দেখা দিচ্ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। তবে হঠাৎ বন্যার আর ‘অবনতি’ না হওয়ার আভাস দিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের তা-বে কুষ্টিয়ায় বেশকিছু গ্রাম লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের বাগানের।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঝড়ে রেললাইনের ওপর গাছ পড়ে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ প্রায় ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো ।
আরও কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মাই/ফই
