
বাংলা পুরানো বছরের বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব। সকালে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পানিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয় ফুলবিজু উৎসব। এবার রাজাধানীতেও ছিলো শোভাযাত্রা।
উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারাবছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায় ও বরণ উৎসব। যা বৈসাবি নামে পরিচিত। বাংলা বর্ষের শেষ দিন চাকমারা ‘ফুল বিজু’, ত্রিপুরারা ‘হাঁড়িবসু’ আর মারমা সম্প্রদায় সূচিকাজ নামে পালন করে যা ফুল বিজু নামে সর্বাধিক পরিচিত।
পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসব ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি’র মাধ্যমে শেষ হবে পাহাড়ের বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা।
সকাল থেকে বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা একত্রিত হয়ে পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস আদিকালে এক প্রেমিক যুগল এই ঘিলা খেলা খেলে তাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ করেছিল, আর এই বিশ্বাস থেকেই তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় প্রতিবছরই এই ঘিলা খেলায় মেতে ওঠে।
ঘিলা খেলা হলো জঙ্গলি লতায় জন্মানো এক প্রকার বীজ। এই বীজ দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যারা খেলা করে। তাদের বিশ্বাস, ঘিলার লতার ফুল থেকে এই বীজের জন্ম আর পৃথিবীতে যারা জন্মগ্রহণ করে তারাই এই বীজ দেখতে পায়।
প্রতিবছর বিঝুর দিনে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আগমনে এই ঘিলা খেলার মাধ্যমে সুখ শান্তির প্রত্যাশা করে।
