
শিক্ষকতা মহান পেশা। তবে প্রতিনিয়তই ম্যানেজিং কমিটি আর সহকর্মীদের রাজনীতির বলি হতে হয় শিক্ষকদের। সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমে রাজধানীর একজন শিক্ষকের, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতে বাধ্য হওয়ার খবর উঠে আসে। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেলো, কিভাবে তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন।
পদ-পদবী নিয়ে টানা হেঁচড়া আর প্রভাবশালী অভিভাবকদের মন রাখতে না পেরে, করোনা অতিমারীর সময় চাকরি হারান এই শিক্ষক।
এরপর অতিমারির দাপটে মেলেনি কোনো চাকরি। বেঁচে থাকার তাগিদে রাজধানীর একটি স্কুলের সেই প্রধান শিক্ষক, এখন যাত্রীবহন করেন দু-চাক্কার মোটরসাইকেলে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন বোর্ড তাঁকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশও দিয়েছে। মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচারে্যর সম্মতিও।
এরপর শুরু মামলার দৌরাত্ম্য।
এদিকে, তাকে চাকুরিচ্যুতকারীদের বৈধতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
সরকারি এই কাগজগুলোতে থাকা অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে।
এই শিক্ষক অকপটে স্বীকার করেন, অভিভাবক প্রতিনিধি নিয়োগে অনিয়মের কথা।
সব কিছু ছাপিয়ে মানুষ তৈরির এই কারিগরের প্রশ্ন, শিক্ষক হয়ে কি করে আরেকজন শিক্ষকের প্রতি এতোটা অনিয়ম করতে পারেন? তিনি জানেন না, কোথায় গেলে শেষ বয়সে তিনি প্রতিকার পাবেন।
