
দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন জঙ্গি নেতা আব্দুল হাই। গোপালগঞ্জে বোমা পুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলার মৃত্যুদ- পাওয়া আসামি তিনি।
আত্মগোপনে থাকা আব্দুল হাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির। আশির দশকে ভারত-পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন, দেশে ফেরেন ১৯৯১ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন হুজি-বি। পরের বছর কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ছিলেন পলাতক।
জঙ্গি নেতাদের বিষয়ে নজরদারির ধারাবাহিকতায় অবশেষে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে, মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, উখিয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন আব্দুল হাই। এরপর একে একে ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ৭টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। যার মধ্যে ২টি মৃত্যুদ- ও ২টি যাবজ্জীবন কারাদ-ের। মোট ১৩টি মামলার আসামি তিনি।
সাইফুল শাহীন/ফই
