
আগ্নেয়গিরির উদগিরণ কতোটা ভয়াবহ হতে পারে, তার আরেকটি উদাহরণ দেখা গেলো, প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ টোঙ্গায়। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিপর্যয়কর, বলছে দ্বীপদেশটির সরকার। বিস্তীর্ণ এলাকা ছেয়ে গেছে ছাইয়ের আস্তরণে। সেখানে ত্রাণ পাঠানোও হয়ে পড়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের।
নজিরবিহীন বিপর্যয়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, আর তারপর দেখা দেয়া সুনামিতে বিধ্বস্ত, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ দেশ, টোঙ্গা।

বাড়িঘর ধ্বংস, ঘন ছাইয়ের স্তরে ছেয়ে আছে বিশাল এলাকা। সাগরপাড়ের বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে পুরোপুরি। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সাগরতলের সাবমেরিন কেবল বিচ্ছিন্ন। এতে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে পড়েছে কঠিন।
ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতোটা ভয়াবহ, তার কিছুটা চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ও বিমান থেকে তোলা ছবিতে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসব ছবি প্রকাশ পেয়েছে। দেখা যাচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের আগে ও পরের চিত্র।
গত শনিবার আঘাত হানে সুনামি। বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে, সমুদ্র তীরের এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে, আরও ভেতরের দিকে এলাকাগুলো অক্ষত রয়েছে অনেকটাই। অগ্ন্যুৎপাতের পর, টোঙ্গার বসতবাড়িগুলো আর দেখাই যাচ্ছে না। সবই ছেয়ে আছে পুরু ছাইয়ের আস্তরণে।

দেশটির বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, ছাইয়ের আস্তরণের কারণে সেখানে উড়োজাহাজ নামানো যাচ্ছে না। তাই, জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা ঝাড় দিয়ে বিমান অবতরণের ব্যবস্থা করছেন।
দেশটিতে ত্রাণ পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। আশা করা যাচ্ছে, কদিনের মধ্যেই টোঙ্গাবাসীর জন্য খাবার, পানি আর ওষুধ সরবরাহ করতে পারবে তারা।
