
দ্বিতীয় দফায় আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব রেখে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ২৯৩ জন এমপি, কিন্তু প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপরই পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচ সপ্তাহের জন্য (১৪ অক্টোবর পর্যন্ত) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যক্রম মুলতুবি হয়ে যায়।
এর আগে সোমবার সকালে বিরোধীদল লেবার, এসএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটস, গ্রিন পার্টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপ ফর চেঞ্জ ও প্লাইড কামরি দলের এমপিরা বৈঠক করে ১৫ অক্টোবরের আগাম নির্বাচনের প্রতি সমর্থন না জানানোর বিষয়ে একমত হন।
চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে একটি আইনের ওপর জোর দিয়ে সেটি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন তারা। এই আইন অবজ্ঞা করলে জনসনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
ইতোমধ্যে ওই আইন পাসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, ব্রাসেলসের সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি হোক বা না হোক ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের কথা ছিল।
কিন্তু সোমবার রাজকীয় সম্মতি পাওয়া নতুন আইন অনুযায়ী তা পরিবর্তিত হয়েছে, এখন ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এমপিরা চুক্তিসহ বা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনুমোদন না দিলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট পেছানোর আবেদন জানাতে বাধ্য হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর হাউজ অব কমন্সে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব তুলেছিলেন জনসন, কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় সেটাও নাকচ হয়েছিল।
পিহা/তুখ
