
পশ্চিম সাহারা এলাকার স্বাধীনতাপন্থিদের অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সহায়তার অভিযোগে ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে মরক্কো। তেহরানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছে বলে মঙ্গলবার ১লা মে মরক্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। রাবাতে থাকা ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং দ্রুত ইরানে ফিরে যেনে নির্দেশ দিয়েছে মরক্কো।
মরক্কোর সাহারা এলাকায় দীর্ঘদিন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে পলিসাইরো ফ্রন্ট। আর সেই পলিসাইরো ফ্রন্টকে সামরিক এবং আর্থিক সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে ইরান এবং লেবাননের প্রতি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের কোন উত্তর দেয়নি ইরান। অভিযোগ অস্বীকার করে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, আমেরিকার চাপে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো।
মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসির বৌরিতা জানিয়েছেন, হিজবুল্লার সাথে পলিসাইরোর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বিষয়টি ইরানকে জানানো হয়েছে কয়েকবার। ইরান বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। নাসির বৌরিতা আরও জানান, হিজবুল্লার সামরিক এবং আর্থিক সহায়তার কয়েকটি নথি ইরানকে দেখানো হয়েছে। আর এসকল সহায়তায় আলজেরীয়ায় ইরানের দূতাবাসকে ব্যবহার করার নথি মরক্কোর কাছে রয়েছে।
এদিকে, আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে অতীতে পলিসাইরো গ্রুপকে ইরানের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে হিজবুল্লাহ বলছে এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইসরাইলের চাপে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো।
এর আগে, ২০০৯ সালে ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল মরক্কো। ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হলেও দুই বছরের মাথায় আবার সম্পর্কে অবনতি ঘটল।
আহা/জাআ//
