
আমার বাবা আজ (বৃহস্পতিবার) লন্ডন সময় ৪টা ৩৩ মিনিটে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বাবার সঙ্গে আমার শৈশবের খুব বেশি স্মৃতি নেই, কারণ তখন তিনি ব্যবসা ও পরিবারের ভবিষ্যৎ নির্মান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি সুশীল সমাজের সক্রিয় সদস্য ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবেও বাবার ব্যস্ততা ছিল। কিন্তু যত বড় হয়েছি ততই বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
তিনি ছিলেন আমার দিক নির্দেশক, সহযোগী, গুরু, আমার জীবনের পথপ্রদর্শক। বিগত কয়েক বছর আমরা একসাথে আমাদের সেরা সময়গুলো কাটিয়েছি। তিনি ডিএনসিসির মেয়র হবার সময় থেকে আমি তাঁর সাথে সাথে ছিলাম। আমি ছিলাম তাঁর নির্ভরযোগ্য সহযোগী, যার সঙ্গে তিনি তার সব কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা বলতেন। আমি অবশ্যই সেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের জানাবো।
তিনি আমাদেরকে যে সেরা মূল্যবোধটি শিখিয়েছেন, বিনম্র ও সততার সঙ্গে নিজের জীবন কাটিয়েছেন, শুধু এটাই তাঁর জীবনের অর্জন হিসেবে যথেষ্ট বলে আমি আপনাদেরকে বলতে পারি। যারা তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, তাঁর দরাজ কণ্ঠ, হাসি, জ্ঞান, কবিতা আর স্পর্শ সবসময়ই সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের সঙ্গে রয়ে যাবে।
বাবা সমসময় বলতেন তিনি চান যখন তিনি মেয়র থাকবেন না তখনও যেন মানুষ তাঁকে মনে রাখে। আব্বু, তুমি যখন বেহেশত থেকে নিচে তাকাবে, দেখবে লাখ লাখ মানুষ তোমাকে মনে রেখেছে। আমি তোমাকে প্রতিটি দিন অনেক মিস করব। আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে তোমার মতো কিংবদন্তিকে আমার বাবা হিসেবে পেয়েছি।
বাবাকে উৎসর্গ করে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো পড়ে আমার চোখে পানি এসে গেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার বাবার প্রতি ভালোবাসা, সম্মান প্রদর্শন করেছেন ও তার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
শুক্রবার বাদ জুমা লন্ডনের রিজেন্ট পার্কের সেন্ট্রাল মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শনিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা।’

উনি এমন একজন ব্যক্তিত্য যাকে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। আমি ও আমার পরিবার ভালোবেসেই দোয়া করে গেছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত…মৃত্যুর পরও দোয়া থাকবে….মহান আল্লাহপাক তাঁকে যেন জান্নাত লাভের সুযোগ দান করেন।