
::মনিরা পারভীন::
কোভিড-১৯ এর ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। বাংলাদেশেও এর প্রভাব বাড়ছে। তাই, ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে বর্তমান প্রয়াসের সঙ্গে আমাদের ধারণা ও বাস্তবতার সেতুবন্ধন থাকা জরুরি । কারণ, বাংলাদেশে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে শীতকালীন রোগবালাইও (যেমন সর্দি, হাঁচি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ইত্যাদি)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি মাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি আর মৃত্যু সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০২০ সালে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে। আবার ২০২১ সালের এপ্রিল, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ছিল। এ সময়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া সাধারণত উষ্ণ বা গরম থাকে। যদি শীতকালকে সংক্রমণের সময় হিসেবে দেখা হয়, সেক্ষেত্রে গত দুই বছরে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে মানুষ তুলনামূলকভাবে কম আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু, শীত বা উষ্ণ মৌসুমের তাপমাত্রা বা আবহাওয়ার সঙ্গে সংক্রমণের হারের সম্পর্ক আছে কি না তা স্পষ্ট করে বলার জন্য যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই। প্রয়োজন আরও গবেষণার। তাই আগামীর পরিকল্পনা আরো সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে প্রয়োজন মানবিক সহায়তা-উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে মাস্ক ও টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। শরীরে এন্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং সংক্রমণ সংখ্যা শূন্যে নিয়ে আসা। সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিল করা অনেকটাই দূরহ। তবে সামাজিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত হতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। ভবিষ্যৎ হবে করোনামুক্ত নতুন নিরাপদ জীবন।
লেখক: Humanitarian Professional and knowledge Management expert Connecting Community (online knowledge platform)Email: connecting.community20@gmail.comWebsite: https://connectingbd.org/
