
সময়ের আলোচিত নাম গ্রেটা থানবার্গ। মাত্র ১৬ বছর বয়স তাঁর। সুইডেনের নাগরিক। পরিচিতি পেয়েছেন জলবায়ু কর্মী হিসেবে। ২০১৮ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবিলম্বে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুইডেন সংসদের বাইরে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে কিনা লিখা ছিল ‘জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট’।
বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে উপস্থিত বিশ্ব নেতাদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,
“কিছু মানুষ বলেন, আমরা সবাই মিলে নাকি জলবায়ু সংকট তৈরি করেছি। কিন্তু সেটি সত্যি নয়। যদি কোনো একজন অপরাধী হয়, তার জন্য সবাইকে দায়ী করা উচিত নয়। যারা অপরাধী, তাদেরকেই দায়ী করতে হবে। আর জলবায়ু সংকটের পেছনে দায়ী হলো কিছু মানুষ, কিছু প্রতিষ্ঠান, এবং কিছু নীতি-নির্ধারক, যারা খুব ভালো করেই জানেন অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে তারা পৃথিবীর কী ভীষণ ক্ষতি করে চলেছেন। এবং আমার বিশ্বাস, সেইসব মানুষদের মধ্যে অনেকেই আজ এখানে উপস্থিত আছেন।”
এই সূত্র ধরে অনেক রাষ্ট্রনায়ক দেখা করছেন গ্রেটার সাথে। রাশিয়ার সংসদেও ভাষণ দেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক কেভর্ক আলমাসিয়ান গ্রেটার সাথে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন,
‘ওবামা গ্রেটাকে ব্যাখ্যা করছেন সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে প্রতি ঘন্টায় তিনটি এবং ২০১৬ সালে মোট ২৬ হাজার ১৭১টি বোমা ফেলে পরিবেশ রক্ষায় কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন’।
২০০৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বিশ্বকূটনীতি এবং বিশ্বসহযোগিতায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সেইসাথে নোবেল কমিটি পারমাণবিক অস্ত্র নিরোধেও ওবামার ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
গ্রেটা থানবার্গও পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন। নরওয়ের তিনজন সংসদ সদস্য নোবেল কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছেন তার নাম।
