
মশার যন্ত্রণায় সবাই অতিষ্ট। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত বিব্রত করে থাকে। মশার যন্ত্রণায় বসার উপায় নেই । এর কামড়ে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গরমের সময়ে এমনিতেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়।
জেনে নিই কী কী উপকরণের সাহায্যে সহজেই মশা তাড়ানো সম্ভব –
কয়েল: মশা তাড়ানোর খুব সহজ আর সাশ্রয়ী উপায় হলো কয়েল ব্যবহার করা। তাই মশার কয়েল কেনার আগে অবশ্যই কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ তা যাচাই করে নেয়া উচিত।
হলুদ কিংবা নীল আলো: মশা সাধারণত সব আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। হলুদ আলো কিংবা নীল আলো দেখলে মশা পালায়। এলইডি-লাইট, হলুদ বাগ-লাইট বা সোডিয়াম-লাইট এক্ষেত্রে উপকারী। যদি হলুদ বাতি বা নীল বাতি না থাকে, সেক্ষেত্রে সাধারণ লাইটের উপরে হলুদ রঙের বা নীল রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
ক্রিম: বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে মশা নিরোধক ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ক্রিমে ক্ষতিকারক কোনো রাসায়নিক উপাদান নেই। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ছোটরাও ব্যবহার করতে পারে। এ ক্রিম ব্যবহারে শরীরের প্রকৃত ঘ্রাণ দূর করে। যার ফলে মশা মানুষের গন্ধ বুঝতে পারে না।

ম্যাজিক মশারি: মশা থেকে বাঁচতে ম্যাজিক মশারির বিকল্প নেই। এ মশারির বুনন কৌশল ও ফেব্রিক্স অন্যান্য মশারি থেকে ভিন্ন। এর জালের ফাঁকা অংশগুলো তুলনামূলক বড় এবং বেশ হালকা। ফলে ভালোভাবেই বাতাস প্রবেশ করে, যা গরমে স্বস্তি দেয়। এটি অন্যান্য সাধারণ মশারির মতো ভারি নয়।

কিলার ব্যাট: বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মশা নিরোধক কিলার ব্যাট। এটি একটি ইলেকট্রিক ব্যাট। মশাসহ অন্যান্য পোকামাকড়ও ধ্বংস করা যায় এই ব্যাট দিয়ে। চার্জের সাহায্যে এটি চালানো হয়। তাই যতক্ষণ ব্যাটে চার্জ থাকবে, ততক্ষণই মশা মারা যাবে।

ফ্যান: কোনো উপকরণ যখন হাতের কাছে থাকবে না, তখন ঘরে থাকা ফ্যানই ভরসা। মশা সাধারণত ফ্যানের বাতাসে উড়তে পারে না। তাই গরমে আরাম পেতে ও মশা থেকে বাঁচতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমালে মশার উপদ্রব থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।
