30 C
Dhaka
বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

‘নিষিদ্ধ নাগরিক’ উপন্যাসটি দুই বাংলায় প্রকাশিত

বিশেষ সংবাদ

Juboraj Faishal
Juboraj Faishalhttps://www.nagorik.com
Juboraj Faishal is a News Room Editor of Nagorik TV.
- Advertisement -

এপার-ওপার দুই বাংলায় একযোগে প্রকাশ পেল থ্রিলার উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’। কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা সামনে রেখে অভিযান পাবলিশার্স ও ঢাকার অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে।

লেখক ও সাংবাদিক জামশেদ নাজিমের উপন্যাসটি প্রকাশের পরপরই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পাঠকদের মধ্যে। ঢাকার বই মেলার আগেই বইটির প্রথম সংষ্করণ শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক আদিত্য অন্তর।

তিনি বলেন, রহস্যঘেরা গল্পে রচিত উপন্যাসটি পাঠকরা সানন্দে গ্রহণ করেছেন। প্রতিদিন সরাসরি আমাদের অফিস ও ভার্চুয়াল মাধ্যম থেকে পাঠকরা বই ক্রয় করছেন। তাই মেলায় আগেই দ্রুত আমাদের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করতে হচ্ছে। একই অবস্থা কলকাতাও। কলকাতার অভিযান পাবলিশার্সের কর্ণধার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের লেখকদের বই ভেবেচিন্তে প্রকাশ করি।

গান্ডুলিপি পড়ে গল্প বা উপন্যাস প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’ উপন্যাসের পাণ্ডলিপি পড়ে আমার খুব পছন্দ হয়। কলকাতায় নতুন এই লেখকের বইটি বেশ ভালো সাড়া ফেলবে। উপন্যাসটি মূলত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সিয়াম নামের এক প্রতিবাদী যুবককে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে কলকাতায় আশ্রয় পাওয়া সিয়াম নিজের অজান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করে। মনের মধ্যে পুষে রাখে রাগ ক্ষোভ। যেভাবেই হোক তার দুরবস্থার জন্য দায়ী সকলকে সে শাস্তি দেবেই।

কলকাতায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক বলিষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সিয়ামের। তাঁর আস্থাভাজন হয়ে ফিরে আসে বাংলাদেশে। ছদ্মবেশে হোটেল সোনারগাঁওয়ে কাজ শুরু করে। সেখানে আজমী নামের পাকিস্তানের এক গুপ্তচরকে হত্যা করে।

এতে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থায় তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। কিন্তু ঘটনা বইতে শুরু করে অন্য খাতে। আন-অফিসিয়াল তদন্তে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আরও কয়েকজন আসে ঢাকায়। অন্যদিকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ফেলে বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে আজমী নামের মেয়েটিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়ামের বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত শুরু হয়।

আবার তুসি নামের এক মেয়েকে খুঁজছে ভারতীয় গোয়েন্দারা? কিন্তু কেন? কে এই তুসি? সিয়াম কেন তুসির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে?…এমন রহস্যের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। গল্পের চরিত্রগুলোও হয়ে উঠে আরেক জীবন্ত গল্প। কলকাতা অভিযান পাবলিশার্স থেকে বইটি কিনে পড়েছেন লিপিকা ব্যানার্জী।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট করে বলেন, সিয়াম নামের একটি বাংলাদেশী যুবক ঘটনার কেন্দ্রে। কাহিনী যত এগিয়েছে চরিত্রগুলি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনার পরতে পরতে খুলেছে সিয়াম এর জীবনের ভালোবাসা -যন্ত্রণা -প্রতিহিংসা-অসহায়তার কাহিনী। উত্তেজনায় টানটান উপন্যাসটি হাতে পাওয়ার পর এক নিঃশ্বাসে শেষ করার মতো।

পাঠক যেখানে চরিত্রের সুখ দুঃখে একাত্ম হয়ে যান সেখানেই লেখকের সার্থকতা। তিনি আরো লিখেন, ‘অভিজ্ঞ এবং ব্যস্ত রিপোর্টার যে একজন অত্যন্ত সুদক্ষ লেখকও হতে পারেন তার নিদর্শন জামশেদ নাজিম’। ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’ পাঠক-পাঠিকার মনের দেশে অবশ্যই নাগরিকত্ব পাবে বলেও আশাবাদি তিনি। প্রসঙ্গত, নিষিদ্ধ নাগরিক জামশেদ নাজিমের পঞ্চম বই।

এর আগে তার ৩টি উপন্যাস ‘একটি গল্পের গল্প, গল্পটির বাকি অংশ, আবেগের জলডুবি ও একটি কাব্যগ্রন্থ ‘জোছনার কফিন’ পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। নিষিদ্ধ নাগরিক সম্পর্কে জামশেদ নাজিম বলেছেন, টানটান উত্তেজনা বিরাজ করাতে চেষ্টা করছি থ্রিলার উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’ প্রতিটি লাইনে লাইনে।

দীর্ঘদিন ধরে ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার জন্য মুলতো থ্রিলার ধাঁচের লেখার চেষ্টা করি। গত দুই বছর অর্থাৎ ২০ ও ২১ সালে আমি কোন উপন্যাস লিখিনি। নিষিদ্ধ নাগরিক থেকে শুরু হয়েছে আমার থ্রিলার উপন্যাস। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আগামী সব উপন্যাসে।

শাশা/ফই

- Advertisement -

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত