
বাংলাদেশের সঙ্গে ডলারের পরিবর্তে রুপিতে বাণিজ্য করতে চায় ভারত। তবে বাংলাদেশ ভারতের সাথে রুপিতে বাণিজ্যে রাজি হবে কিনা, সেটি নির্ভর করছে সরকার ও শিল্প মহলের ওপর। এদিকে, ভারতের দিক থেকে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন।
ডলার বা অন্য কোনও হার্ড কারেন্সিকে এড়িয়ে দুটো দেশ যখন নিজেদের মধ্যে নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য চালায়, সেটাকে আর্থিক পরিভাষায় বলে কারেন্সি সোয়াপ অ্যারেঞ্জমেন্ট।
বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে লেনদেন করতে এই ধরণের রুপি সোয়াপের এমনই উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। আর এর জন্য যাবতীয় আইনি বাধাও দূর করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আরবিআই।
ইতিমধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআইএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য এখন যে ডলারে এলসি খুলতে হয়, তার আর কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন যাতে রাশিয়া থেকে ভারতীয় কোম্পানিগুলো সহজে রুপিতে পেমেন্ট করে তেল কিনতে পারে, সেই জন্যই মূলত এই সিদ্ধানত। কিন্তু এর বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে অন্য যে দেশগুলোর সঙ্গেও রুপিতে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হতে পারে তার অন্যতম হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করতে ভারতের এই চেষ্টা অবশ্য নতুন নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে এই ধরনের রুপি সোয়াপ করার জন্য ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছিল প্রায় নয় বছর আগেই।
তবে, ৯ বছর আগে তেমন আগ্রহ না দেখা গেলেও এখন বাংলাদেশ রুপিতে বাণিজ্য করতে উৎসাহী হতে পারে বলেই ভারত আশা করছে। বাংলাদেশ যেহেতু ভারত থেকে অনেক বেশি পণ্য কেনে, তাই রুপি দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কেনার মতো জিনিসেরও অভাব হবে না, এটাও যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
