
বরিশালে একের পর এক অনৈতিক কাজে জড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ব্ল্যাকমেইলিং থেকে শুরু করে ধর্ষণের মতো ঘটনায়, জেলেও যেতে হয়েছে কয়েকজনকে। মহানগর পুলিশ প্রধান বলছেন, কেউ অপরাধে জড়ালে, সেটা তারই দায়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান। তার নেতৃত্বে বিবিকিউ ফেসবুক পেইজের দুই এডমিনকে আটক করা হয়। পেইজটি স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের অশ্লীল ছবি প্রকাশ করে তাদের জিম্মি করতো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের আটকে অর্থ আদায়ের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হন ওই উপপরিদর্শক। এরপর ফেসবুকে একই কায়দায় স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় শুরু করেন। এ অপরাধে গত ১৬ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, গত মাসে বরিশালের স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। থানায় সাহায্যের জন্য আসা এক নারীকে ধর্ষণের অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই এলাকায় বছরের পর বছর একই পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকায় এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। বলছে, সুশীল সমাজ।
আইনজীবীদের মতে, কতিপয় পথভ্রষ্ট পুলিশ সদস্য ব্যক্তিস্বার্থে অপরাধে জড়াচ্ছে।
কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়ালে, সেটা তারই দায়। বলছেন, মহানগর পুলিশের প্রধান।
চলতি বছরে বরিশাল জেলায় দায়িত্ব অবহেলায় ১৬ জন, ধর্ষণে অভিযুক্ত একজন, ঘুষের দায়ে ২ জন এবং জিম্মি করে অর্থ আদায়ের দায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তত/রা
