
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় দুর্বিষহ জীবন লাখ লাখ মানুষের। এখনও অপরিবর্তিত সার্বিক পরিস্থিতি। কুশিয়ারায় পানি একটু কমলেও বিপদসীমার উপরেই রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায়।
সিলেটের ১২ উপজেলার অন্তত ১৩ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। গ্রামে-গ্রামে ত্রাণের জন্য হাহাকার, নেই খাবার পানি। আশ্রয়কেন্দ্রেও মানবেতর জীবন কাটছে সবার। কমেনি নগরবাসীর দুর্ভোগও। এখনও শহরের এক তৃতীয়াংশ প্লাবিত।
একই চিত্র সুনামগঞ্জে। সুরমার পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও ছাতক, দোয়ারাবাজারসহ জেলা শহরের নিচু এলাকা এখনও পানিবন্দি। ঘরে ঘরে খাবার আর বিশুদ্ধ পানির সংকট। বানের পানিতে বর্জ্য মিশে যাওয়ায় দুর্গন্ধ প্রকট হচ্ছে, বাড়ছে রোগবালাই।
সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও কুশিয়ারার পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। ফলে নদী পাড়ের মানুষজনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বর্তমানে বিপৎসীমার মাত্র ১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
