
আট অর্থবছরে কর্মকতা-কর্মচারীদের প্রায় ৯০ কোটি টাকা পারফর্মেন্স বোনাস বিলিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেছিলো ক্যাব। সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, সরকারের ভতুর্কি ছাড়া চলতে পারে না ওয়াসা, অন্যদিকে দেয়া হচ্ছে পারফর্মেন্স বোনাস। এটি পরষ্পরবিরোধী।
পুরো রাজধানীর পানি সরবরাহের প্রধান প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া পারফর্মেন্স বোনাসের বৈধতা নিয়ে রিট দায়ের করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন ক্যাব।
আদালতে পারফর্মেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পারফর্মেন্স বোনাস দেয়া হয়েছে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ১৬২ টাকা।
ওয়াসার আইনজীবী বলছেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়াসার পারফর্মেন্স ভালো। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওয়াসার অবস্থান প্রথম। তার স্বীকৃতি হিসেবেই এই বোনাস।
তবে ক্যাবের আইনজীবী বলছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ওয়াসা। তবে ১৯৯৬ সালের আইন অনুযায়ী বিধি প্রনয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারন করা যাবে না।
ক্যাবের আইনজীবী বলছেন, ওয়াসার মুনাফা রাজস্বের অংশ। তাই এরকম যথেচ্ছ বোনাস দেয়ার কোনো আইনগত সুযোগ নেই। সরকারকে রাজস্ব দেয়ার পরেই বোনাস দেয়া হয়েছে সেটি ওয়াসাকেই প্রমাণ করতে হবে।
ওয়াসার আইন অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির সমন্বয় করতে বিধি প্রনয়ন ছাড়াই বোর্ডের অনুমতিতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করতে পারে সংস্থাটি। বুধবার এই মামলার শুনানি হবার কথা রয়েছে।
