
‘নো-ডিল ব্রেক্সিট’, অর্থাৎ কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১ এমপি শামিল হয়েছেন বিরোধী দলের কাতারে। এর ফলেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সরকারপক্ষ হেরে বসায়, আপাতত ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে গেল বিরোধীদের হাতে। এখন তারা ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেয়ার বিল নিয়ে এগোতে পারবেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ নিতে এমপিদের এই বিল অনেক অস্থিতিশীলতা, বিলম্ব ও বিভ্রান্তি নিয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরে নির্বাচন দেয়া ছাড়া, তার হাতে কোনো বিকল্প থাকবে না। এ ব্যাপারে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বলেন জনসন।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে, দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তা কার্যকর করা হলে, এই বিদ্রোহী ২১ এমপি আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের হয়ে অংশ নিতে পারবেন না।
চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকার কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট কার্যকর করা ঠেকাতে বিরোধীরা আইন পাস করতে পারে, এমন শঙ্কায় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অবশেষে ভোটে হেরে বসা জনসনের আগাম নির্বাচনের হুমকিকে, সাধুবাদই জানাচ্ছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। তারা এখন ব্রেক্সিট পেছানোর বিল পার্লামেন্টে তোলার পর, সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাবও আনতে পারেন। অবশ্য, ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী ক্ষমতাসীন কোনো সরকারকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরাতে হলে, পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন।
জাহা/শাই
