
ডলার কিনতে গত এক বছরে নগদ খরচ ৭০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এমন অবস্থায় টাকার টানাটানিতে, আমানত নিয়ে নতুন ধাক্কা খাওয়ার ঝুঁকিতে ব্যাংকগুলো। এদিকে, ছোট ঋণ ও ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রমে গতি কমার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তফশিলি কিংবা বিশেষায়িত ব্যাংক, গ্রাহকের আমানত থেকে ঋণ দেয়। ঋণের সুদ আদায় করে ব্যাংক তার খরচ ও মুনাফা ঘরে তোলে। কিন্তু ডলারের বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি অনেক দিন। আমানতের নগদ টাকা ডলার কিনতে খরচ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত এক বছরে বিক্রি করেছে ৭৬২ কোটি ডলার, দেশীয় মুদ্রায় ৭০ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। বিনিয়োগের টাকা খরচ হয়েছে ডলার কিনতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তারল্য সংকট আরও বড় হবে নতুন অর্থবছরে। কারণ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে বাড়তি শুল্ক। যা শঙ্কা বাড়াচ্ছে আমানত কমে যাওয়ার।
ব্যক্তিশ্রেণির সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানের আমানতে উৎসে কর দ্বিগুণ হয়েছে। এই হোঁচটের পাশাপাশি, ছোট ছোট ঋণও মন্থর হতে চলেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ডেও একই শর্ত। এই ব্যাংকার বলছেন, রিটার্ন জমা দেয়ার শর্ত প্রশংসনীয়, তবে কয়েকটি খাত বাইরে রাখা যেতো।
৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতেই দিতে হবে আয়কর বিবরণী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের স্বাস্থ্য দুর্বল করবে নতুন অর্থবছরের এসব নীতি।
