
ঢাকার ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত আর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী বালু নদীর পাড় যেন মাদক কারবারিদের নিরাপদ আস্তানা। যার কেন্দ্র পাতিরা গ্রামের আবাসনের নির্জন বালুর মাঠ। স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ আইন প্রয়োগকারীরা। প্রয়োজন ৪ থানার সম্মিলিত পদক্ষেপ।
মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে খিলক্ষেতের পাতিরা। রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা আর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মাঝামাঝি হওয়ায়, মাদককারবারিদের জন্য অনেকটা হাব হয়ে উঠেছে এলাকাটি।
গত প্রায় ২৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই বালু নদীর পাড় এলাকা। নদীর পাড় আর বালু মাঠকে কেন্দ্র করে চলছে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের রমরমা ব্যবসা।
রূপগঞ্জের চনপাড়া থেকে বালু নদীর পাড়ের পূর্বপ্রান্তের ইছাপুরা বাজার এবং পূর্বাচলের ভোলানাথপুর। এই প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার নদী পাড় ঘেঁষে অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয়। যাদের কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বিচরণস্থান পাতিরা গ্রামের বালুর মাঠ। অভিযোগ আছে, গত ২ বছরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৩টি হত্যাকান্ড ঘটার। তবে, পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
এমন পরিস্থিতিতে মাদক দমনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি, চার থানার যৌথ অভিযানের দাবি স্থানীয়দের।
