
পদ্মা সেতুতে মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ১-বি নামের ৩৬তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার।
শুক্রবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ১-বি নামের ৩৬তম স্প্যানটি স্থাপনের কাজ শেষ হয়। আর বাকি থাকলো ৫টি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, নভেম্বর মাসেই আরও চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’ নামের ভাসমান ক্রেনে ১-বি নামের ধুসর রঙের স্প্যানটি খুঁটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর কাজ।
গত ১১ অক্টোবর ৩২তম স্প্যান, ১৯ তারিখ ৩৩তম স্প্যান, ২৫ তারিখ ৩৪তম স্প্যান ও ৩১ তারিখ ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো আরও ৩৫টি।
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন গ্রুপ লিমিটেড। বহুমুখী এই সেতুর মূল আকৃতি হবে দ্বীতল, যা কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
ফই/শাই/ফই
