
চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার সাংহাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ঘিরে এমন স্বপ্ন শুধু চট্টগ্রামই নয়, দেখছে পুরোদেশ। জিডিপিতে বাড়বে অবদান। বিকাশ হবে পর্যটনের। এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে গতি পাবে অর্থনীতি। অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘিরে তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।
স্বপ্নটাও তাই মেঘ ভেদ করে আকাশ ছোঁয়ার। যার রুপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গল্পটার শুরু ২০০৮ সালে চট্টলাবাসীকে দেয়া এক নির্বাচনী ওয়াদাকে ঘিরে।
পাথর-বালু আর রড সিমেন্টের সঙ্গে স্বপ্নের রসায়ন। কর্ণফুলীর দেড়শো ফিট নিচে দুই টিউবে চার লেনের সড়ক জানান দেয়, বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায় না।
উদ্বোধন হবে শিগগিরই, তবে তার আগে পূর্ত কাজের উদযাপন। সুরঙ্গ পথের পতেঙ্গা প্রান্তে তাই হাজারো মানুষের ভীড়।
৩ দশমিক চার কিলোমিটার টানেলের পুর্বপ্রান্তে আনোয়ারায় চীন ও কোরিয়ান ইপিজেড। নদী তীর ধরে হবে আকাশচুম্বী ভবন আর শিল্প কারখানা। হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর ও মহেশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এসবে চট্টলায় তৈরি হবে বহুমুখী কর্মসংস্থান। প্রবৃদ্ধি বাড়বে জিডিপির।
প্রায় ৪০ কিলোমিটার দুরত্ব কমবে পর্যটন শহর কক্সবাজারের। বিআইসিএম করিডোরে যুক্ত হবে পুর্ব থেকে পশ্চিম। চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার সাংহাই সিটি এমনটা প্রত্যাশা দেশবাসীর।
