
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। খাদ্য সংকটে দুর্গত এলাকার মানুষ।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুড়িগ্রামে ৩২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু সড়ক, বাঁধ ও স্কুলগৃহে। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখের বেশি মানুষ।
সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে ধরলার পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে উজান থেকে ঢল আসায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি। ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, তিল, কাউন, বাদামসহ উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। পানিবন্দী মানুষ খাবারের সংকটে আছে।
হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানিবন্দি অন্তত এক লাখ মানুষ। জেলার আজমিরীগঞ্জে স্রোতে ভেসে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরবেষ্টিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গত এলাকায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কষ্ট বাড়ছে। অনেকেই বাড়িতে ফিরলেও নেই কোনো খাবারের ব্যবস্থা। বিধ্বস্ত বাড়ি মেরামতের পাশাপাশি খাদ্যের সন্ধান করতে হচ্ছে তাদের। এর সঙ্গে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
