
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ মুক্তিযুদ্ধের আগে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন তিনি।
আসামি ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে চার সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
১৭৪ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন ৬২ বছর বয়সী আব্দুস সামাদ।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তখন এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ছয়জনকে। কিন্তু তদন্ত চলার সময়ই বাকি পাঁচ আসামির মৃত্যু হয়। একমাত্র আসমি হিসেবে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) বেঁচে আছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৩৯টি মামলার ৯৭ আসামির মধ্যে ছয়জন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মোট ৮৯ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬২ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।
ফই/শাই/ফই
