
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। পদ্মা সেতু কেন বাঁকা? কতজন কাজ করেছেন? এমন নানা প্রশ্ন জাগে মানুষের মনে।
এখন কেবল উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তৈরি হয়েছে পানি থেকে ৭০ ফুট উঁচুতে। নদীর তলদেশে ঢাল তৈরির জন্য ভারত থেকে আনা হয়েছে এক টন ওজনের একেকটি পাথর। নদী শাসনে যেখানে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। যা পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
আকাশ থেকে পদ্মা সেতু দেখতে বাঁকা একটি রেখার মতো। সেতু সোজা হলে চালকরা অনেক সময় অমনোযোগী হয়ে পড়েন। সেতু একটু বাঁকা থাকলে চালকদের হাত স্টিয়ারিংয়ের ওপরেই থাকবে, তাতে দুর্ঘটনার শঙ্কাও অনেকটা কমে যাবে। বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটও সরাসরি চালকের চোখে পড়বে না। তাই সেতুটি সামান্য বাঁকা রাখা হয়েছে।
পদ্মার দুই পাশে ১৪ কিলোমিটার এলাকার পাড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০০ কেজি ওজনের একেকটি জিওব্যাগ। নদীর অংশের খুঁটির নিচে বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ও মোটা পাইল বসানো হয়েছে সেতুকে টেকসই করতে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৪ হাজার প্রকৌশলী, কারিগর ও টেকনিশিয়ানের মধ্যে পাঁচশর বেশি ছিল বাঙালি। এই সেতুতে যে ধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও ব্যবহার হয়নি। এসব বিয়ারিং ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও সেতুকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম।
পদ্মা সেতুর পিলার ফেরির চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই ফেরির ধাক্কায় এই পিলারের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই সেতুতে প্রায় ৩ লাখ টন রড, আড়াই লাখ টন সিমেন্ট, সাড়ে ৩ লাখ টন বালু, প্রায় ২ হাজার ১০০ টন বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেই উপকরণগুলো দেশ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে।
