
১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেবে না ক্ষমতাসীনরা। সেদিন সরাসরি কোন সমাবেশ না করলেও, রাজপথে সতর্ক অবস্থান নেবেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
সরকার পতন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দিনক্ষণের চুড়ান্তপত্র দিয়ে থাকে। যাকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
বিগত বিএনপি-জামাত জোটের সময় ৩০ এপ্রিল ডেডলাইন ঘিরেও বিষ্ফোরিত হয় রাজনীতির ময়দান। তেমনি একটি দিনক্ষণ আগামী ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাষ্য ওই দিন জনগনকে সঙ্গে নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন যাতে পরদিন অর্থ্যাৎ ১১ই ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে দলটির কারাদন্ডপ্রাপ্ত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথায়।
রাজনীতির তির্যক বাক্যবাণে জনমনেও একধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে। অনেকে প্রশ্নও তুলছেন, বিএনপির এই হুংকার আওয়ামী লীগ কীভাবে নিচ্ছে? কিংবা ওইদিনকে ঘিরে ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনাটাই বা কী ?
সমাবেশের বিপক্ষে সমাবেশ করার একটা অলিখিত নীতি দেশে প্রচলিত থাকলেও নেতাদের কথায় বোঝা যাচ্ছে তারা পাল্টা কোন কর্মসুচিতে যাচ্ছেন না। তার মানে তাদের একেবারেই কোনো কর্মসুচি থাকবে না, নাকি ভিন্ন কোনো কৌশল আছে – যাতে সাপ মারা ও লাঠি না ভাঙ্গার মতো দুকুলই রক্ষা হয়?
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সমাবেশের আশাপাশে নয়, পুরো রাজধানী জুড়েই বিভিন্ন ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
তবে, বিএনপির বিভাগীয় শান্তিপুর্ণ সমাবেশগুলোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এই ধারা দলটি অব্যাহত রাখবে বলেও মনে করেন তারা। কারণ দলটি সবসময় একটি শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকার আক্ষেপে পুড়েছে।
