
আফগানিস্তানে নয় জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান। ডাকাতি ও সমকামিতার দায়ে তাদের সাজা হয়েছে। এছাড়া চুরির দায়ে প্রকাশ্যে চার ব্যক্তির হাত কেটে দিয়েছে তারা।
গত বছরের নভেম্বরে আফগান বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তালেবানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। বৈঠকে কিছু অপরাধের জন্য শরিয়াহ আইনে শাস্তি প্রদান করতে বিচারকদের নির্দেশ দেন তিনি। তার পর থেকেই তালেবান প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত বা অঙ্গহানির মতো সাজা কার্যকর করছে।
গতকাল মঙ্গলবার ফের প্রকাশ্যে এমন নৃশংস শাস্তি দেওয়া। ভরা স্টেডিয়ামের মাঝে ডাকাতির অপরাধে সকলের সামনেই হাত কেটে নেওয়া হয় চারজনের।
এছাড়াও, সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরও ৫ অভিযুক্তকে তাদের অপরাধের ভিত্তিতে ৩৫ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়। এ সময় কান্দাহারের ফুটবল স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় ভর্তি ছিল। সাধারণ মানুষ থেকে তালেবানের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের মানবাধিকার কর্মী শবনম নাসিমি টুইটে লেখেন, ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই লোকজনকে বেত্রাঘাত, অঙ্গচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের বারংবার নিষেধাজ্ঞার পরেও, এভাবে হাত-পা কেটে নিয়ে শাস্তি দেওয়ার পথ থেকে কিছুতেই সরছে না তালিবান। গত নভেম্বর থেকে চলতি জানুয়ারির মধ্যে, অন্তত ১০০ জন নর-নারীকে হাত-নয় পা কেটে শাস্তি দিয়েছে তালিবান।
