
যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত কিম ইন-রিয়ং একথা বলেছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিরস্ত্রীকরণ কমিটির কাছে কিম এমন আশঙ্কার কথা জানান। উপরাষ্ট্রদূত বলেন, ৭০ দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু হামলার হুমকির শিকার উত্তর কোরিয়া। এই অবস্থায় আত্মরক্ষার্থে দেশটির পরমাণু অস্ত্র রাখার অধিকার আছে, বলেন তিনি। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে তড়িৎ চুম্বকীয় স্পন্দন (ইএমপি) হামলার পরিকল্পনাও করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর এসেছে। কিন্তু বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ধরনের হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ধসে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এক বছরের মধ্যে মারা যেতে পারে দেশটির ৯০ শতাংশ মানুষ। ইএমপি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ধ্বংস করে দিতে পারে। এতে উড়তে থাকা উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হবে, ট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন থেমে যাবে।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তিতে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে দেশটির দাবি। দেশটির কাছে এ মুহূর্তে পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা ও বিভিন্ন পাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের পুরোটা এখন তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আছে। তাদের ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালানোর সাহস দেখালে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে না, বলেন কিম ইন-রিয়ং।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকির পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্থিরতা এখন সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে উত্তর কোরিয়ার ওপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ।
এই পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়ছেন না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রথম বোমা পড়ার আগ পর্যন্ত তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলবে।