ইরাকের বিরোধপূর্ণ কিরকুকের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় ইরাকি সেনা পৌছানোর পর তাদের সঙ্গে কুর্দি যোদ্ধাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, ইরাকি সেনারা এরই মধ্যে তেলের খনিসহ কিছু জায়গার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কুর্দি কর্তৃপক্ষ এই খবর অস্বীকার করেছে।
কিরকুক শহরের দক্ষিণ থেকে ভারী গোলাগুলি বিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। সেপ্টেম্বরের গণভোটের পর থেকে ইরাকি কুর্দিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই পক্ষেরই আশঙ্কা বাড়ছে। ২০১৪ সালে আইএস জঙ্গীদের ইরাকের উত্তরাঞ্চলে হটিয়ে কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধাদের দখল করা তেলক্ষেত্রগুলো দখলে নিতে চায় বাগদাদ।
কিরকুক স্বায়ত্বশাসিত কুর্দিস্তানের অংশ নয়। গণভোট বাতিল করতে ইরাকি সরকারের দাবি কুর্দি নেতারা অগ্রাহ্য করায় সংকট নিরসনের সংলাপ ব্যর্থ হয়। কুর্দি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইরাকি সেনারা সরকার সমর্থিত শিয়া যোদ্ধাদের সঙ্গে কিরকুক শহরের দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তেলক্ষেত্র ও একটি এয়ারবেস দখল নেয়া।
কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন স্থানগুলো এখনো কুর্দিদের দখলেই আছে। কুর্দি নেতা মাসউদ বারযানির সহযোগী হেমিন হাওরামি এর আগে জানিয়েছিলেন, কুর্দি নেতারা সামরিক পদক্ষেপ চাননি, তবে বহিঃশক্তির কাছ থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্য সবসময়ই প্রস্তুত ছিলেন। এর আগে কুর্দিস্তানের প্রশাসন বহিরাগত যোদ্ধা নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বাগদাদ।
তুরস্কভিত্তিক কুর্দিস্তান ওয়ার্কার’স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধা নিয়োগের অভিযোগও ছিল। বাগদাদ এটিকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেছে। ইরাকি কুর্দিরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল কিরকুকের দখল চায় কুর্দি ও বাগদাদ উভয়েই। কিছুদিন আগেও এই দুই পক্ষ একসঙ্গে আইএসের বিরুদ্ধে লড়েছে।
- Advertisement -

- Advertisement -
