
কী চান ইমরান খান? পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরাই-বা কী চায়? দুপক্ষের চাওয়া-পাওয়ার যাতাকলে, জনজীবন পিষ্ট। এই দুপক্ষের বাইরে আছে আরও দুই পক্ষ। তারা হলো- দেশটির সেনাবাহিনী ও সুপ্রিম কোর্ট। তবে, কার্যত পক্ষ দুটো। ইমরানের দল আর সরকার। রাজনীতির চরম অস্থিরতা কবে শেষ হবে, তা এখনো জানে না কেউ।
গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে সেই সময়ের বিরোধী জোট শাহবাজ শরিফের সরকার। ইমরানের সব অভিযোগের তির, ক্ষমতাসীন এই জোট সরকারের দিকে।
ক্ষমতা হারিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সরব ইমরান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। জনসমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। বিবাদে জড়িয়েছেন প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গেও। একের পর এক মামলা হয়েছে তার নামে। জামিন পেলেও, যেনো পাননি, লাহোরের বাসভবনে অবরুদ্ধ পিটিআই নেতা।
ইমরানের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তার দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাহবাজ সরকার। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা জিততে পারবে না। তাই সেনাবাহিনীকে পিটিআইয়ের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। যা দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
ইমরানের একটাই লক্ষ্য, স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচন। যে কারও সঙ্গে আলোচনাতেও রাজি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মানে, দেশের জন্য ধ্বংস ডেকে আনা।
এদিকে, ইমরানের গ্রেপ্তার নাটকের পর, নতুন ছক কষছে সরকার। অরাজকতার অভিযোগে, কথিত সন্ত্রাসীদের ধরতে মরিয়া তারা। ছক কার্যকর করতে, তাদের প্রধান শক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টার্গেট, পিটিআই নেতাকর্মী।
অন্যদিকে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে দেখা হচ্ছে ইমরানপন্থি হিসেবে। কারণ, আদালতের হস্তক্ষেপেই গ্রেপ্তার থেকে রেহাই পেয়েছেন পিটিআই নেতা। এখন দেখার পালা, চরম এই অস্থিরতা কীভাবে সামাল দেয়, পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান।
