
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে ইউনেসকো থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য এও জানিয়েছে, সদস্য না হয়েও সংস্থাটিতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ মিশনের মাধ্যমে সংগঠনটির বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখতে চায়।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সংস্থাটিতে বাড়তে থাকা বকেয়া ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের প্রকাশ ঘটেছে। এই সংস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলেও দেশটি মনে করে।
২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া, গতবছর পবিত্র স্থান জেরুজালেমের সঙ্গে ইহুদিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি একটি প্রস্তাবনায় উল্লেখ না করা আর এবছর পশ্চিম তীরের পুরোনো হেবরন নগরীকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করা, ইউনেসকোর এরকম কয়েকটি সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সমালোচনার মুখে পড়েছে।
এসবের প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই সিদ্ধান্ত বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনেসকো ছাড়ার পেছনে অর্থ বাঁচানোর উদ্দেশ্য কাজ করেছে বলেও অনেকে বলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্যান্য দেশের তুলনায় তার দেশ বেশি অর্থ ব্যয় করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় ২৮ শতাংশ তহবিল যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের কাছ থেকে এই নিয়ে নোটিশ পাওয়ার পর গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘ এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও একটি ক্ষতি বলে বর্ণনা করেন তিনি।