
জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে তার নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের রাজনৈতিক দল সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনলে ১৫ নভেম্বর মধ্যরাতে রাজধানী হারারের সরকারি অফিস, পার্লামেন্ট ও আদালতে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে সেনাসদস্য ও সাঁজোয়া যান অবস্থান নেয়। জিম্বাবুয়ের একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জেবিসির দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। টেলিভিশন স্টেশন দখলের পর সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লজিস্টিক মেজর জেনারেল এসবি মোয়ো সেখানে একটি বিবৃতি পড়ে শোনান। এতে দেশে কোনও অভ্যুত্থানের খবর অস্বীকার করেন তিনি। মুগাবে এবং তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাজধানী হারারেতে বাহিনীর অবস্থান নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, রবার্ট মুগাবের চারপাশের যেসব লোকজন অপরাধ করছে এবং দেশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভোগান্তিতে ফেলছে কেবল তাদেরকেই সেনাবাহিনী লক্ষবস্তুতে পরিণত করেছে এবং বিচারের মুখোমুখি করাতে চাইছে। এ লক্ষ্য অর্জন হলে দেশের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে বিবৃতিতে বলেছিলেন তিনি।
রাজনৈতিকভাবে অস্থির আফ্রিকার দেশগুলোতে সেনা অভ্যূত্থান, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সরকার উৎখাত, সেনাশাসন, অবৈধ পথে ক্ষমতা দখল ইত্যাদি খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুরুন্ডি, মালি, নাইজার, মিশর ইত্যাদি দেশে এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা গেছে গত এক দশকে। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে জিম্বাবুয়ের পরিস্থিতিও আফ্রিকার অন্য দেশগুলির মতো হতে যাচ্ছে।
///মাও
